বাংলা নববর্ষের আগেই সম্ভবত শুরু হবে স্টার জলসা-র নতুন ধারাবাহিক ‘জীবন জ্যোতি’-র সম্প্রচার। ইতিমধ্যেই মোশন পোস্টার রিলিজ হয়েছে এবং সেখানে নায়িকাকেও দেখে নিয়েছেন দর্শক। কিন্তু চিনতে পেরেছেন কী? সবাই হয়তো না-ও বুঝে উঠতে পারেন। নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ক্যানসারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের কথা দর্শকের অজানা নয়। সেই মারণ রোগকে জয় করে গত বছর তিনি পর্দায় ফেরেন ‘ঝুমুর’-এ।

এবার কালারস ছেড়ে স্টার জলসা-য় এলেন নায়িকা। টেলিপাড়া সূত্রের খবর, নতুন এই ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করছেন সুশান্ত দাস। কৌতূহল জিইয়ে রাখতেই এখনও দেখানো হয়নি নায়কের মুখ। তবে স্টার জলসা-র সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জোর আলোচনা চলছে সম্ভাব্য টাইম স্লট নিয়ে। অনেকে আবার তাঁদের পছন্দমতো স্লটও দাবি করেছেন।

কিন্তু আদতে কোন স্লটে আসছে এই ধারাবাহিক? ফাইনাল প্রোমো মুক্তি পেতে আরও সপ্তাহখানেক সম্ভবত। তার পরেই স্পষ্ট হবে যে কোন ধারাবাহিকটি শেষ হতে চলেছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহের টিআরপি রেটিং ও গল্পের গতিপ্রকৃতি বিচার করলে ‘কুন্দ ফুলের মালা’ শেষ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তার পরেই তালিকায় থাকতে পারে ‘মায়ার বাঁধন’। অর্থাৎ পাঁচটা বা সাড়ে পাঁচটার স্লটে আসতে পারে নতুন ধারাবাহিক।

আবার স্লট শাফলিংও ঘটতে পারে। অর্থাৎ হয়তো ‘কুন্দ ফুলের মালা’ সম্প্রচার শেষ হল কিন্তু ওই স্লটে এল অন্য কোনও চলতি ধারাবাহিক। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক ‘সন্ন্যাসী রাজা’-কে যদি নিয়ে আসা হয় পাঁচটার স্লটে এবং ‘জীবন জ্যোতি’-কে দেওয়া হয় সন্ধে সাড়ে ছ’টার স্লট (‘সন্ন্যাসী রাজা’-র বর্তমান স্লট)। তেমনই একটি সম্ভাবনা রয়েছে রাত সাড়ে দশটার স্লটে নতুন ধারাবাহিকটি নিয়ে এসে ‘খোকাবাবু’-কে অন্য কোনও স্লটে শাফলিং করা।

তবে সাড়ে দশটার স্লটে এই মুহূর্তে পরিবর্তন হবে না বলেই ধারণা কারণ টিআরপি-র দৌড়ে এখন এগিয়ে স্টার জলসা-ই। তাই শাফলিং হলেও ওই স্লটে নতুন ধারাবাহিক এনে এক্সপেরিমেন্ট হয়তো করবেন না চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।