উপকরন : তেতুল – ১ কাপ মত, লবন – পরিমান মত, চিনি – স্বাদ অনুযায়ী, সরিষার তেল – ১+১/২ টেবিল চামচ, আগারা পাউডার – সামান্য (ঐচ্ছিক )

চাট মশলা : জিরা – পরিমান মত, ধনিয়া -পরিমান মত, শুকনা মরিচ -পরিমান মত, এলাচ – ১ টি, বিটলবন – সামান্য

– তাওয়ায় সব ভাল করে টেলে নিন । বেশি ভাজবেন না তিতা হয়ে যাবে ।
– গরম থাকতে ব্লেন্ডারে বা পাটায় বেটে ভাল করে গুড়ো করে নিন ।

তেলে দেবার জন্য :

উপকরন : সরিষার তেল – ১ কাপ বা তার বেশি, পেয়াজ কুচি – ১ কাপ, শুকনা মরিচ – ৪-৫ টি, আস্ত পাঁচফোড়ন – সামান্য, সিরকা – ৩-৪ টেবিল চামচ

প্রনালি :

– তেতুল ৪-৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পরে হাত দিয়ে ভাল করে কচলিয়ে কাঁথ বের করে নিন। অল্প পানি দিয়ে ভিজাবেন । তানাহলে পরে পানি শুখাতে অনেক টাইম লাগবে । অর্ধেকের বেশি বিচি ফেলে দিন অল্প কিছু রাখবেন ।

– ফ্রাইপেনে তেল দিয়ে তেতুলের কাঁথ দিয়ে দিন । চিনি লবন ও দিয়ে দিন । মাঝারি আচে পানি শুকিয়ে আঠালো আর শক্ত করে নিন । শেষের দিকে আমি সামান্য আগার পাউডার দিয়েছিলাম যাতে আচারটা ভাল জমাট বাধে ।

– শুকিয়ে আসলে এবং শক্তটাইপের বল তৈরি করা গেলে নামিয়ে নিন । নামানোর আগে চাট মশলা ও বিট লবন ছিটিয়ে নেড়েচেড়ে দিন । ঘ্রান না হয়া পর্যন্ত চাট মশলা দিন । ঠাণ্ডা হলে হাতে সামান্য তেল বাংলা রেসিপি লাগিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করুন । সব গুলো একই ভাবে বল তৈরি করুন ।

– এবার প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নিন । পেয়াজ কুচি ভাল মত ব্রাউন কালার করে ভেজে তুলে রাখুন । গরম তেলে শুনা মরিচ বাংলা রেসিপি ভেঙ্গে দিয়ে দিন সাথে পাঁচফোড়ন ও । পাঁচফোড়ন ফুটে উঠলেই নামিয়ে নিন ।

– তেল চুলা থেকে নামাবার ১- ২ মিনিট পরে আঁচার ও পেয়াজ দিয়ে দিন । পাঁচফোড়ন গরম তেলে দিয়ে বেশিক্ষন রাখবেন না পুড়ে তিতা হয়ে যাবে । কিছুক্ষন পরে সিরকা ঢেলে দিন । ঠাণ্ডা করে কাঁচের জারে রেখে দিন ।

পরিবেশন : খিচুড়ি অথবা সাদা ভাত সাথে পরিবেশন করুন দারুন মজাদার এই আঁচার ।