ইচ্ছে হলে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন নরম, ফুলকো, সুস্বাদু ও পারফেক্ট রুটি খুব সহজেই।আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে । আটা ফিল্টার করে বা আটা চেলে ব্যবহার করা উচিত, এজন্য আটা মাখার আগে চালুনিতে চেলে নিন । জলে অল্প দুধ দিয়ে কুসুম কুসুম গরম করে সেটা দিয়ে আটা মাখুন । ছানার জল আটা মাখার সময় ব্যাবহার করতে পারেন । কুসুম কুসুম গরম / মৃদু গরম / ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটি চিনি, অল্প তেল দিয়ে আটা মাখুন । আটা মাখার সময় বাটার মিল্ক ব্যাবহার করতে পারেন । { একটি পাত্রে টকদই ও জল নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন । একে বাটার মিল্ক বলে } আটা একটু মেখে রেখে দিন সম্পূর্ণভাবে মাখবেন না । ১০ মিনিট পর সেটা ভাল ভাবে মেখে নিন । মাখাটা খুব নরম হবে। রুটি ও নরম হবে । আটা মেখে ৪- ৫ ঘণ্টা ভিজে কাপড় দিয়ে ঢেকে ঢেকে রেখে দিন গরম কোনো স্থানে। সারারাত রাখতে পারলে ভাল হয় । আটা মেখে আটার ডো টা কে একটা পাত্রে রেখে জলে ভিজিয়ে রাখুন । যেন ডো টা জলে ডুবে যায় । এক ঘণ্টা পর, জলটা ফেলে আটা ভাল ভাবে মেখে নিন । মাখাটা খুব নরম হবে। রুটি ও নরম হবে ।

আটার মিশ্রণটি সমান অংশে ভাগ করে নিন। এরপর একটি অংশ নিয়ে হাতের তালুতে নিয়ে ভালো করে গোল করে নিন(একটু সময় ধরে গোল করতে হবে) । এই গোল বলটি এবার হাতের আলতো চাপে একটু চ্যাপ্টা করে টিক্কির /লেচির আকার দিয়ে দিন। লেচির ভেতর অল্প তেল বা আটা দিয়ে মুখটা ভালো করে মুড়ে আবার হাতের তালুতে নিয়ে ভালো করে লেচিটা গোল করে নিন । রুটি ভালো ফুলে উঠবে । গনগনে আঁচে / আগুনে রুটি সেকে নিলে রুটি ভালো ভালো ফুলে উঠবে আবার নরম ও হবে। রুটি তুলে সঙ্গে সঙ্গে হটপটে রাখার আগে ঘি বা মাখন বা মার্জারিন ব্রাশ করতে পারেন। রুটি নরম থাকবে । রুটি তৈরির পর রুটি কুসুম কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে থালায় মেলে দিন । শুকিয়ে গেলে তুলে হটপটে দিন । রুটি নরম থাকবে । আবার সেই রুটি খাওয়ার পর অম্বল হবে না । হটপটে বা নিজের পছন্দ মতন পাত্রে যাতে আপনি রুটি তুলে রাখবেন সেটাতে আপনি কাপড়/রুমাল/ টিস্যু পেপার /খবরের কাগজ / অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বিছিয়ে দিন । রুটি তুলে সেই কাপড়/রুমাল/ টিস্যু পেপার / খবরের কাগজ / অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রেখে ভালো করে মুড়ে দেবেন রুটি নরম থাকবে । আর গরম রুটির ভাপে রুটি ভিজবে না । 

তেল ছাড়া শুকনো একটি প্যান/তাওয়া গরম করে এতে, শুকনো আটা দিয়ে একটু ভেজে নিন । সেই ভাজা আটা ছিটিয়ে রুটি বেলতে হবে । রুটি ভালো ফুলে উঠবে । আটা তাড়াহুড়ো করে মাখবেন না । মাখাটা একটু সময় নিয়ে মাখুন । সময় নিয়ে আটা মাখলে রুটি নরম হবে ও রুটি ভালো ফুলে উঠবে । আটা মাখার সময় একটু আলু সেদ্ধ দিয়ে আটা মাখলে রুটি নরম হবে । বেশী জল দিয়ে চটকে, থেসে থেসে আটা মাখুন । আটা ঠিক জল শুসে নেবে । যতো বেশী জল শুসবে, ততো আটা মাখা নরম হবে । রুটি ও নরম আর ফুলকো হবে । রুটি বেলার সময় বেশী আটা ছিটিয়ে রুটি বেলবেন না । যতোটা পারা যায় কম আটা ছিটিয়ে রুটি বেলবেন । রুটি ও নরম আর ফুলকো হবে । একসঙ্গে একটা রুটি তাওয়ায় বা ফ্রাইপ্যানে দিয়ে একটু ফোলা ফোলা হলে উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আগুনে সেকে নিলে ভালো হয়। দুটো বা তিনটে রুটি একসঙ্গে তাওয়ায় দেবেন না ।

রুটি তৈরির আটা নরম করে মাখবেন ।
** আবার লুচি, পরোটার জন্য ময়দা/আটা স্বাদ মতো নুন, গরম তেল দিয়ে ভাল করে ময়ান দিয়ে টানটান করে মাখতে হবে ।

ডো কি ?
সব উপকরণ মিলিয়ে যে ময়দা/আটা মাখা হয় সেই ময়দা /আটার মাখা তাল, খামির কে, যেটা থেকে লেচি কেটে, বেলে রুটি/লুচি তৈরি করা হয়। ইংরেজিতে তাকে ডো (Dough) বলা হয় ।

ময়ান কি ?
ময়দা, আটা, স্বাদ মতো নুন, গরম তেল দিয়ে ভাল করে জল ছাড়া যখন শুকনো শুকনো মাখা হয় তাকে ময়ান দেওয়া বলা হয় ।

বাটার মিল্ক কি ?
একটি পাত্রে টকদই ও জল নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন । একে বাটার মিল্ক বলে ।

ছানার জল কি ?
দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে যে জল পরে থাকবে সেটা ছানার জল । একটি পাতলা সুতির কাপড়ে /ছাঁকনিতে জলটা ঢেলে ছেঁকে নিন।
** রেসিপি, ব্লগ, লেখা, পোস্ট ভাল লাগা বা খারাপ লাগা আপনার উপরে নির্ভর করছে । কিন্তু কোন অসম্মান, আপত্তি জনক মন্তব্য অনুগ্রহ করে করবেন না ।