রান্না একটি শিল্প। রান্না কেবল সুস্বাদু করলে রাঁধতে জানলেই হবে না। দ্রুত, সহজে সুন্দরভাবে খাবার তৈরি করে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় কিছু কৌশলের। এই কৌশলগুলো রান্নাকে করে তোলে আরও সহজ আরও সুন্দর।

আসুন জেনে নিই এমন কিছু কৌশল –

১। আলু ও বেগুণ কাটার পর রেখে দিলে কালো হয়ে যায়। আলু ও বেগুন কাটার পর পানিতে ভিজিয়ে রাখুন দেখবেন আর কালো হচ্ছে না।

২। ওল, কচু বা কচুশাক রান্নার সময় কিছুটা তেঁতুল বা লেবুর রস ব্যবহার করুন। এতে আর গলা চুলকাবে না।

৩। চিনাবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে তারপর রান্নায় ব্যবহার করুন। এতে বাদামের স্বাদ আরোও বেড়ে যাবে।

৪। বাদাম ভাজতে সাধারণত তেল বেশি লাগে। কিন্তু বাদাম ভাজার আগে তেল মেখে তারপর তাওয়া বা ফ্রাইপ্যানে ভাজুন তবে তেল কম লাগবে।

৫। সবজি সিদ্ধ করার পর পানিটি ফেলে দিবেন না। এটি অন্য কোন রন্নায় স্টক হিসেবে ব্যবহার করুন। দেখবেন রান্নার স্বাদ বেড়ে গেছে বহুগুণ।

৬। ধনে পাতা মসলিন বা পাতলা কাপড়ের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত ধনে পাতা ভাল থাকবে।

৭। রান্নায় খাবারের মান ভাল রাখতে তরকারি বড় বড় টুকরো করে কাটুন।

৮। রান্না করতে গিয়ে তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক বা সামান্য চিনি ব্যবহার করুন। এতে লবণ কিছুটা হলেও কম লাগবে।

৯। সেমাই রান্না করার আগে সেমাই হালকা করে ভেজে নিন এতে করে রান্নার সময় সেমাই সহজে গলে যাবে না।

১০। কাঁচা মরিচের কাণ্ড ফেলে তারপর সংরক্ষণ করুন। এতে মরিচ অনেক দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।

১১। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস তৈরি করতে গেলে অনেক সময় দুধ ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশান। ভাল করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নিবেন, দেখবেন দুধ আর ফাটছে না।

১২। পেঁয়াজ কাঁটার সময় চোখ দিয়ে পানি বের হয় না, এমন মানুষ পাওয়া ভার। পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর কাটুন। দেখবেন আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে না।