মানুষ বর্তমান সময়ে মানুষের কাছে সন্তান-সন্তুতি, ধন-সম্পদ কামনা করে। অথচ এর কোনোটিই মানুষ কাউকে দিতে পারে না। যা সরাসরি শিরক। বৃদ্ধ বয়সে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করলেন সৎ পুত্র সন্তানের জন্য। আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করলেন। তাঁকে নেক পুত্র সন্তান দান করলেন। যা বিস্তারিত এসেছে সুরা সফফাতে।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমার জন্য হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পুত্রসন্তান লাভের এ আবেদনটি তুলে ধরেছেন। যাতে বান্দা এ দোয়ার মাধ্যমে তাঁর নিকট সন্তান কামনা করতে পারে। দোয়াটি তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০০)

অর্থ : হে আমার লালন পালনকারী! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন।

 

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমার জন্য হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পুত্রসন্তান লাভের এ আবেদনটি তুলে ধরেছেন। যাতে বান্দা এ দোয়ার মাধ্যমে তাঁর নিকট সন্তান কামনা করতে পারে। দোয়াটি তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহিন।’ (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০০)

অর্থ : হে আমার লালন পালনকারী! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন।

 

১ হাজার বছরের কাজা নামাজ আদায় হবে এই দোয়াটি পাঠ করলে!
আলহামদু লিল্লাহি আ’লা কুল্লি নি’মাতিহী, আলহামদু লিল্লাহি আ’লা কুল্লি আ-লা-ইহী, আলহামদু লিল্লাহি ক্বাবলা কুল্লি হালিন, ওয়া ছাল্লাল্লাহু আ’লা খাইরি খালক্বিহী মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আলিহী ওয়া আছহাবিহী আজমাঈ’ন, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন ।দোয়ার ফযীলতঃ এ দোয়াটির ফযীলত ও মর্তবা সম্বন্ধে ছাহাবীদের মধ্যে পরস্পর এখতেলাফ রয়েছে ।

আমিরুল মু’মিনীন হযরত ওমর (রা) বলেন যে, এ দোয়া যে ব্যক্তি শ্রদ্ধাসহকারে পাঠ করবে তার ছয়শত বৎসরের আদায় করা নামাজ এর বরকতে আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যাবে ।

অনুরুপ হযরত ওসমান (রা) বলেছেন, সাতশত বৎসরর এবং হযরত আলী কাররাল্লাহু ওয়াজহু বলেছেন, যদি এ দোয়া পাঠকারীর এক হাজার বৎরের নামাজ কাজা হয়ে থাকে তাও এ দোয়ার বরকতে আল্লাহ্ তা’আলার দরবারে কবুল হয়ে যাবে ।যা হোক হযরত রাসূলে করীম (স) এর মহিমায় এ পবিত্র দোয়ার ফযীলত বর্ণনাকালে ছাহাবীগন প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল !

মানুষের এরুপ ছয়, সাতশত ও হাজার বৎসর (হায়াত) বয়স কোথায় ? যে এর নামাজ কবুল হবে ? তখন রাসূলুল্লাহ (স) বললেন যে, এ দোয়া পাঠকারীর বাপ, দাদা, পরদাদা ও আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের নাম কবুল হয়ে বৎসর পূরন করা হবে ।

সুবাহানাল্লাহ্ । (সূত্র : ছহীহ্ নূরাণী অজিফা শরীফ)

পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে অজানা ১০ তথ্য
পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে এই ১০টি অজানা তথ্য প্রতিটি মুসলমানের জানা অপরিহার্য। পবিত্র কাবা আল্লাহর ঘর। প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়রাজ্যে বাস করে বাইতুল্লাহ জিয়ারতের স্বপ্ন। কাবার পরিচিতি বিশ্বজোড়া। কিন্তু এই কাবাঘর সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অনেকই জানেন না। কাবা শরিফ সম্পর্কে অজানা ১০টি তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

১. কাবা ঘর কয়েকবার নির্মিত হয়েছে: নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যুদ্ধাবস্থার কারণে কাবা ঘর কয়েকবার নির্মাণ করা হয়েছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে কাবা শরিফ মোট ১২ বার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান ডিজাইনের নির্মাতা মুসলিম শাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নিজে এই ডিজাইনটি করেননি।

বরং তিনিও ইসলাম পূর্ববর্তী কুরাইশদের ডিজাইন অনুসরণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার কাবা শরিফের সংস্কারের কাজ করা হলেও মূল ডিজাইনে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। সর্বশেষ কাবা শরিফের সংস্কার কাজ করা হয় ১৯৯৬ সালে। তখন বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাবা শরিফের দেয়াল ও প্রাঙ্গনকে দৃঢ় ও মজবুত করা হয়।

২. কাবার গিলাফের রং পরিবর্তন: কাবা শরীফকে গিলাফে আবৃত করার প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন জুরহুম গোত্রের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে এ ধারা চলমান থাকে। মহানবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাবা ঘরকে একটি সাদা ইয়েমেনি চাদরে আবৃত করেন। পরবর্তী খলিফারা কাবা ঘরের গিলাফের ক্ষেত্রে সাদা, লাল এবং সবুজ রং ব্যবহার করেছেন। আব্বাসি খলিফারা কালো গিলাফের প্রচলন করেন। এখনো তা সেই কালো রংয়েই বহাল আছে।

৩. ডিজাইন পরিবর্তন: পবিত্র কাবা ঘর বর্তমানে ঘনকাকৃতির অবয়বে আছে। পূর্বে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এটিকে এই আকৃতিতে তৈরি করেননি। ইসলাম পূর্বযুগে কুরাইশরা কাবা পুনঃনির্মাণ করে। তখন অর্থ সংকটের কারণে কাবার কিছু অংশ নির্মাণের বাইরে থাকে। এটি মূলত কাবার আভ্যন্তরীণ অংশ। বর্তমানে এটিকে একটি ছোট দেয়াল দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। একে হাতিম হিসেবে অভিহিত করা হয়।

৪. কাবার দরজা মূলত কয়টি? কাবার মূল দরজা ছিল দুটি এবং একটি জানালাও ছিল। বর্তমানে দরজা আছে একটি। জানালা নেই। তবে কাবার অভ্যন্তরে আরেকটি দরজা আছে। যা ছাদে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

৫. কাবা ঘরের অভ্যন্তর: কাবা ঘরের অভ্যন্তরে কী আছে? এ নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন জাগে। কাবার অভ্যন্তরে তিনটি পিলার মূল ছাদটিকে ধরে রেখেছে। দুই পিলারের মাঝে একটি টেবিলে সুগন্ধি রাখা আছে। দেয়ালের উপরাংশকে একটি সবুজ কাপড়াবৃত করে রেখেছে। কাপড়টিতে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ক্যালিগ্রাফি খচিত।

৬. হাজরে আসওয়াদ ভেঙ্গেছিল: হাজরে আসওয়াদ মূলত একটি বড় পাথর ছিল। তবে বর্তমানে এটি মোট আটটি পাথরখন্ডের সমষ্টি। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাথরটি ভেঙ্গে গেছে। সর্বপ্রথম এর উপর রৌপ্যের ফ্রেম বাঁধাই করেন আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর।

৭. কাবার রক্ষক পরিবার কারা? অবাক করা ব্যাপার হলো- ইসলাম পূর্বযুগ হতে এখন পর্যন্ত একটি গোত্রই কাবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে। গোত্রটির নাম বনু শাইবাহ। বিগত প্রায় ১৫ শতাব্দী ধরে এই গোত্রের হাতেই আছে কাবা ঘরের চাবি।

৮. কাবা ঘর পরিষ্কার কার্যক্রম: কাবা ঘরের রক্ষকগোত্র বনু শাইবাহর তত্ত্বাবধানে বছরে দুইবার কাবা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জমজম কুয়ার পানি, গোলাপজল এবং আরবের বিখ্যাত সুগন্ধি উদের তেলের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ক্লিনিং লিকুইড তৈরি করা হয় এবং তা দিয়েই কাবা ঘর পরিষ্কার করা হয়।

৯. উন্মুক্ত দরজা: কাবার দরজা একসময় সবার জন্যই উন্মুক্ত ছিল। পরবর্তীতে লোক সমাগম বেড়ে যাওয়ার কারণে কাবার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানেও এটি বিশেষ সময়ে খোলা হয়ে থাকে।

১০. বিরতিহীন তাওয়াফ: কাবার আরেকটি অবিশ্বাস্য দিক হলো- সবসময়ই এর চারপাশে তাওয়াফ চলতে থাকে। শুধু নামাজের জামাত যে সময়টুকুতে হয়, তা ছাড়া বাকি পুরো সময় ধরে কাবার চারধারে চলতে থাকে অবিরাম তাওয়াফ।