সৌন্দর্যের জন্য আমরা কি না করে থাকি। আর কোমল, পেলব মসৃণ ত্বক পেতে কিছুটা ত্যাগ তো স্বীকার করতেই হয়। আর তা হল শরীরের অবাঞ্চিত লোম দুরীকরণের জন্য ওয়াক্স। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম এটি। শুধু সাজের জন্য নয়, নিজেকে পরিষ্কার রাখার জন্যও অত্যন্ত জরুরি নিয়মিত ওয়াক্সিং। কিন্তু ওয়াক্সড ত্বক পেতে গেলে যে সহ্য করতে হয় যন্ত্রণা। কারণ ওয়াক্সিং এর ফিনিশিং অন্য সবকিছু থেকে আলাদা। আর ওয়াক্সিং ঠিকঠাক না করা থাকলে আত্মবিশ্বাসও যেন কমে যায় অনেকটাই। জেনে নিন কীভাবে ওয়াক্সিং করবেন যন্ত্রণামুক্ত।

১। গরম পানিতে গোসল: ওয়াক্সিং যন্ত্রণামুক্ত করতে ওয়াক্স করার আগে গরম পানিতে গোসল করে নিন। এর ফলে লোমকূপ খুলে যাবে। যন্ত্রণা কম হবে।

২। এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের মড়া চামড়া রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ফলে ওয়াক্সিংয়ে যন্ত্রণা বাড়ে। ওয়াক্স করার আগে এক্সফোলিয়েট করুন। এতে লোমকূপ খুলবে।

৩। এক্সপার্ট: অনেকেই পার্লারে যাওয়ার সময় দিতে চান না। ঝক্কি বা খরচ এড়াতে বাড়িতেই নিজে করে নেন ওয়াক্সিং। এতে যন্ত্রণা যেমন বাড়ে, তেমনই ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে। সব সময় এক্সপার্ট দিয়েই ওয়াক্সিং করান।

৪। ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্স: বিচে বেড়াতে যাওয়ার আগে বা বিয়ের আগে অনেকেই ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্স করান। খেয়াল রাখবেন পিউবিক এরিয়াতে কিন্তু অতিরিক্ত গরম ওয়াক্স ব্যবহার করবেন না।

৫। আঘাত: ত্বকে কাটা-ছেঁড়া, ফুসকুড়ি থাকলে ওয়াক্সিং এড়িয়ে চলুন। এতে যন্ত্রণা আরও বেশি হবে।

৬। স্কিন ট্রিটমেন্ট: যদি ত্বকের কোনও সমস্যার জন্য আপনার ট্রিটমেন্ট চলে তাহলে অবশ্যই কিছুদিন ওয়াক্সিং এড়িয়ে চলুন। এই সময় ত্বক খুব সংবেদনশীল থাকে। গরম ওয়াক্স থেকে সমস্যা বাড়তে পারে।

৮। অ্যালকোহল বা কফি: অ্যালকোহল বা কফি ত্বকের লোমকূপ বুজে দেয়। ফলে ত্বক আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ওয়াক্সিং করার আগে তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।

৯। পিরিয়ড: পিরিয়ড সাইকেলের আগে যন্ত্রণাবোধ খুব প্রখর থাকে। এই সময় বিকিনি ওয়াক্স এড়িয়ে চলুন। পিরিয়ড শেষ হওয়ার কিছু দিন পর বিকিনি ওয়াক্স করতে পারেন।

১০। পেইন রিলিভার: যদিও এটা কোনও সমাধান হতে পারে না। তবু যন্ত্রণা যদি খুব অসহ্য মনে হয় ব্যথা কমার ওষুধ খেতে পারেন।

সুগার ওয়াক্স

অনেকে মনে করেন হাত-পায়ের অতিরিক্ত লোম উঠাতে ব্যবহার করা হয় সুগার ওয়াক্স। তবে চিনি দিয়ে তৈরি এ ওয়াক্স ব্যবহার করা যায় মুখের অপ্রয়োজনীয় লোম উঠাতেও। আর বাড়িতে তৈরি প্যাকটি ব্যবহারে ব্যথা নেই বললেই চলে। এবার জেনে নেয়া যাক মুখের ত্বকের জন্য প্যাকটি কীভাবে বানাবেন।

প্রস্তুত ও ব্যবহার প্রণালি

২ চা চামচ সাদা বা ব্রাউন সুগারের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ পানি মিশিয়ে মাইক্রোওয়েভ কিংবা চুলার ওপর ৩০ সেকেন্ড গরম করে নিন। মিশ্রণটি বাদামি রঙ ধারণ করলে ঠাণ্ডা হতে দিন। এর পর প্রয়োজনমতো মুখের ত্বকে ব্যবহার করুন। পরে হাত-পায়ের লোম যেভাবে ওয়াক্সিং করে, সে পদ্ধতি অনুসরণ করুন।