তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যার কারণে এই ধরনের ত্বকে মেকআপ করার সময় অনেক সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণের জন্য মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার মজাটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই এইসব ত্বকে মেকআপ করার সময় কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হয়। আর এইসব নিয়ম মেনে চললে আপনি ঘরে বসে নিজে নিজেই করতে পারেন পারফেক্ট মেকআপ যা আপনার মুখের অতিরিক্ত তেলকে নিয়ন্ত্রন করে আপনাকে আরও আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তুলবে।

মেকআপ করার আগে আপনার ত্বককে এক্সফ্লোয়েট করা অনেক জরুরি। প্রথমে ভালো কোনো স্ক্রাব দিয়ে সম্পুর্ন মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এতে করে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা বের হয়ে যাবে এবং আপনার ব্ল্যাকহেডস কিছুটা কম দেখাবে। এরপর গরম তোয়ালে মুখে চেপে মুখ মুছে নিন।

এরপর অবশ্যই মুখ ধোয়ার পর যেকোনো মশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। মেকআপ করার ক্ষেত্রে মশ্চারাইজার লাগানো অনেক জরুরি। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মশ্চারাইজার যেন অবশ্যই অয়েল ফ্রী এবং ওয়াটার বেইস হয়। সম্ভব হলে এটা মেকআপ লাগানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে এটা লাগিয়ে নিন। এতে মেকআপ মুখে বসবে ভালোভাবে।

এরপর মুখে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। যেহেতু তৈলাক্ত ত্বক অন্যন্য স্কিন থেকে আলাদা হয় সেহেতু খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশন যেন অবশ্যই অয়েল ফ্রি হয়। ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় ব্রাশ ব্যাবহার না করে হাত দিয়েই ওটাকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করার চেষ্টা করুন। ত্বকে লাগানোর আগে এক ফোঁটা পানি অথবা একটু মশ্চারাইজার মেশান।

ফাউন্ডেশন লাগানোর পর কম্প্যাক্ট পাওডার লাগানোর আগে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার একটা ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে আপনার মুখের শেড অনুযায়ী কম্প্যাক্ট পাওডার লাগিয়ে নিন। হাল্কা করে গালের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়া পাউডার লাগিয়ে নিন। খেলার রাখেতে হবে নাকের দিকে এবং কপালের কিছুই জায়গায় যেনো মেকআপ সমানভাবে লাগানো হয়। পাওডার লাগানোর জন্য মুখের তেল কম নিঃসরণ হবে এবং ন্যাচারাল লাগবে। খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশনের রঙ এর সাথে কম্প্যাক্ট পাওডার এর রং যেন মিলে যায়।